• 22 Dec, 2024

স্বাধীনতার পর প্রথম মু্ক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিলেন আনোয়ারা প্রেস ক্লাব

স্বাধীনতার পর প্রথম মু্ক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিলেন আনোয়ারা প্রেস ক্লাব

স্বাধীনতার পর প্রথম মু্ক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিলেন আনোয়ারা প্রেস ক্লাব

স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর এই প্রথম জাতির সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিলেন আনোয়ারা প্রেস ক্লাব। মুক্তিযোদ্ধারের সম্মাননা দিয়ে আনোয়ারা প্রেস প্রথম বীজ বপন করেন।

গতকাল শনিবার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০১৭ উপলক্ষ্যে আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধারা এসব কথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধারা বলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে এ দেশকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু এখন যুক্তিযোদ্ধাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না।

আনোয়ারা প্রেস ক্লাব মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করার জন্য আমরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল নুর চৌধুরী ও প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ইতিহাস গবেষক সোহেল মোহাম্মাদ ফখরুল উদ্দিনের সঞ্চালনায় আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি আবদুল নুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে আনোয়াস্থ পারকি সমুদ্র সৈকত হাসনাত পার্কে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা বজল আহমদ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য, দৈনিক আমাদের বাংলা ও দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী। বিকাল ৩ টার সময় আনোয়ারা উপজেলা যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা সামসুল আলম মাষ্টার অনুষ্টান উদ্ধোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বজলুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক এ কে এম আবু ইউছুপ, আবু হেনা খোকন, এডভোকেট কায়সার, আজিজুল হক, সাবেক সাংসদ এডভোকেট শাহাদাত হোসেন,এস এম সালাইউদ্দিন, বদরুল হক, ইমরানুল হক চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, এনামুল হক নাবিদ, এম এইচ ইমরান, আবদুল মান্নান, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

যাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় তারা হলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মু্ত্তিযোদ্ধা বজল আহমদ, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা সুনীল আইচ, মোঃ মফিজ, মোঃ নাছিম, আবদুল আলিম, নুরুল ইসলাম।

মুক্তিযোদ্ধারা প্রধান অথিতি বজল আহমদ ও প্রেস ক্লাব সভাপতি আবদুল নুর চৌধুরীর কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার সামসুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা মানে শুধু সবুজ কাপড়ে লাল একটা বৃত্তের চক্কর নয়। গরীব দুঃখী কৃষক মজুর সাধারণ মানুষের ছেলেমেয়ে যাতে সবাই লেখাপড়া করতে পারে সেজন্য একটা ব্যবস্থা। প্রতিটি মানুষ যাতে চিকিৎসা সুবিধা পায় সেজন্য একটা ব্যবস্থা। স্বাধীনতা অর্জন এগুলোর জন্য। স্বাধীনতা মানে মানুষের সামগ্রিক একটা আন্তরিক সুযোগত্বের পথ অবাহিত হওয়া উন্মুক্ত হওয়া। প্রত্যেক মানুষের চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া পড়ালেখার সুযোগ পাওয়া। এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এখন একজন কৃষকের ছেলে যোগ্যতা থাকা সত্বেও ঘুষ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে পারে না। পরের কাছে দ্বারস্ত হতে হয়।স্বাধীন দেশের নাগরিকদের লেখাপড়ার সুযোগ অবশ্যই থাকতে হবে।

আমাদের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সেটা। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ।
মানুষের সুযোগ সুবিধা বিকাশের পথটা উন্মুক্ত করে দেওয়ার নামটা স্বাধীনতা। স্বাধীনতা প্রয়োজন এজন্য।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান আলোচক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য, দৈনিক আমাদের বাংলা ও দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধারা গুণীজন সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।